প্রত্যেক ভাষায় নীতিবচন রয়েছে।
নীতিবচন জাতীয় সত্তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
একটি দেশের আদর্শ ও মূল্যবোধ উঠে আসে নীতিবচনের মাধ্যমে।
নীতিবচনের স্বরূপ পরিচিত ও স্থায়ী, পরিবর্তনযোগ্য নয়।
নীতিবচন সবসময় ছোট ও সংক্ষিপ্ত হয়।
রূপকার্থ নীতিবচনে প্রায় ব্যবহৃত হয়।
অনেক নীতিবচন কাব্যিকভাবে বলা হয়।
বেশীরভাগ নীতিবচন উপদেশমূলক ও আচার-আচরণের নিয়মনীতি শীর্ষক।
কিন্তু কিছু নীতিবচন আবার সমালোচনামূলক।
নীতিবচন অনেক সময় মুদ্রনফলকে ও হয়।
যাতে অন্যন্য দেশে ও মানুষের মাঝেও অনুমান অনুসারে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়।
নীতিবচনের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য থাকে।
এরিষ্টটল নীতিবচনকে সংক্ষিপ্ত দার্শনিক মতবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এটা অলঙ্কারশাস্ত্র ও সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনাশৈলী।
প্রাসঙ্গিকতা নীতিবচনকে বিশেষভাবে তাৎপর্যময় করেছে।
ভাষাগত দিক থেকে বলা যায়, নীতিবচনগুলো ভাষার দিক থেকে খুবই শৃংখলাবদ্ধ।
অনেক নীতিবচন একইভাবে বিভিন্ন ভাষায় বিদ্যমান।
শুধু আভিধানিকভাবে তারা স্বতন্ত্র হতে পারে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাষাভাষীরা এদেরকে একই শব্দে ব্যবহার করেন।
বেলেন্দে হুন্দে বাইচ্ নিখট্ (জার্মান), পেরো কে ল্যাদরা নো মুয়ের্দে (স্পেনীয়) - ঘেউ ঘেউ করা কুকুর কদাচিৎ কামড়ায়।
অন্যান্য অর্থগুলো শব্দার্থগতভাবে একই।
একই বক্তব্য প্রকাশ করা হয় বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে।
অ্যাপিলিয়া শা আ শা আ (ফরাসী)-, দিরে পানে আল পানে ই ভিনো আল ভিনো।
এভাবেই নীতিবচন আমাদের অন্য মানুষ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে।
সমস্ত পৃথিবীব্যাপী যে নীতিবচনগুলো আছে সেগুলো খুবই মজার।
সেগুলো মানব জীবনের ”গুরুত্বপূণর্” বিষয়।
বিস্বজনীন অভিজ্ঞতার জড়িত এগুলি।
নীতিবচনগুলো আমাদের দেখিয়ে দেয় যে আমরা অভিন্ন- যদিও আমারা ভিন্ন ভাষায় কথা বলি।