প্রত্যেক ভাষার আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
কিন্তু কিছু ভাষার বৈশিষ্ট্য একেবারেই অনন্য।
এরকম একটি ভাষার নাম ”ট্রিও”
”ট্রিও” দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয় ভাষা।
প্রায় ২,০০০ ব্রাজিল ও সুরিনামের মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।
”ট্রিও” কে বিশেষ ভাষা বানিয়েছে এর ব্যকরণ।
এই ভাষা সবসময় সত্য বলায় জোর দেয়।
তথাকথিত হতাশা-মূলক পরিণতির জন্য এটা করা হয়।
এই পরিণতি ”ট্রিও” ভাষার ক্রিয়ায় যুক্ত হয়।
এভাবেই প্রমানিত হয় যে, বাক্যটি কতটা সত্যি।
উদহারণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানো যাক।
ধরা যাক, এমন একটি বাক্য বাচ্চাটি স্কুলে গিয়েছিল।
”ট্রিও” ভাষায় বক্তাকে ক্রিয়ার আগে কোনো একটা বিশেষ পরিণতি যোগ করতে হবে।
যে পরিণতি ইঙ্গিত দিবে যে বক্তা বাচ্চাটিকে নিজে স্কুলে যেতে দেখেছিল।
সে এটাও বলতে পারবে যে, বিষয়টি সে জানতে পেরেছে অন্যদের সাথে কথা বলে।
অথবা সে এমন একটি পরিণতি যোগ করে প্রমাণ দিতে পারে যে ঘটনাটি সত্য নয়।
এভাবেই বক্তাকে অঙ্গীকার করতে হবে যে সে কি বলছে।
অর্থ্যাৎ, তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, তার বক্তব্যটি সত্য।
এভাবেই সে মিথ্যা বলতে ও কোনকিছু লুকাতে পারবেনা।
যদি একজন ট্রিওভাষী পরিণতির অংশটা বাদ দেয় তাহলে বুঝতে হবে সে একজন নিরেট মিথ্যাবাদী।
সুরিনামের রাষ্ট্রীয় ভাষা হল ডাচ।
ডাচ থেকে ট্রিওতে অনুবাদ করতে হলে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
কারণ বেশীর ভাগ ভাষায় নিখুঁত নয়।
ভাষাভাষীরা প্রায়ই অস্পষ্টতার মুখোমুখি হন।
অনুবাদকরা অনেক সময় বক্তার বক্তব্য অনুধাবন করতে পারেন না।
তাই ট্রিও ভাষাভাষীদের সাথে যোগাযোগ করা খুব কঠিন।
সম্ভবত এই বাক্যে পরিণতির ব্যপারটা অন্যান্য ভাষায় ব্যবহার করা যায়!
শুধুমাত্র রাজনীতির ভাষা ছাড়া।