যখন কোন ব্যক্তি নিজের সাথে কথা বলে তখন অন্যদের কাছে তা অদ্ভুত লাগে।
কিন্তু প্রায় সবাই নিজের সাথে প্রতিদিনই কথা বলে।
মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন প্রায় ৯৫ ভাগ বয়স্ক মানুষ নিজের সাথে কথাবলেন।
শিশুরা খেলার সময় নিজের সাথে কথা বলে।
তাই নিজের সাথে কথা বলা সাধারণ একটা ব্যাপার।
এটা যোগাযেগের একটা বিশেষ ধরণ।
নিজের সাথে মাঝে মাঝে কথা বলার অনেক উপকার রয়েছে।
আমাদের চিন্তা-ভাবনার বিষয়গুলো আমরা কথা বলে প্রকাশ করি।
আমাদের ভিতরের শব্দগুলো বের হয়ে আসে যখন আমরা নিজেদের সাথে কথা বলি।
এটাকে আপনি শব্দযুক্ত চিন্তা বলতে পারেন।
বিশেষ করে বিক্ষিপ্ত মস্তিষ্কের মানুষ নিজের সাথে প্রায়ই কথা বলে।
তাদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অংশ কম সক্রিয় থাকে।
তাই তারা বিশৃংখল অবস্থায় বাস করে।
নিজের সাথে কথা বলে তারা সুশৃংখল হওয়ার চেষ্টা করে।
এটা আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
ধকল থেকে মুক্তি পাওয়ারও ভাল উপায় নিজের সাথে কথা বলা।
এটি মনোযোগ বৃদ্ধি করে ও আপনাকে আরও কর্মক্ষম করে।
কারণ শুধু চিন্তা করার চেয়ে বলা অনেক দিন স্থায়ী হয়।
কারণ কথা বলার সময় আমরা বেশী সচেতন থাকি।
আমরা নিজেদের সাথে কথা বলে কঠিন পরীক্ষার মুখোমখি হয়।
অনেক গবেষণা এটা প্রমাণ করেছে।
নিজের সাথে কথা বলে আমরা নিজেকে সাহস দিতে পারি।
নিজেদের অনুপ্রাণিত করতে ক্রীড়াবিদেরা নিজের সাথে কথা বলেন।
দুঃখজনক ব্যাপার হল, খারাপ অবস্থায় পড়লে আমরা নিজের সাথে কথা বলি।
যাইহোক, আমাদের উচিৎ সবসময় ইতিবাচক হওয়া।
এবং অমাদের পর্যালোচনা করা উচিৎ যে আমরা কি চাই।
এভাবেই আমরা কথা বলার মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে আমাদের কাজকে প্রভাবিত করি ।
কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে, এটা তখনই ঘটে যখন আমরা বাস্তববাদী হই।