অধিকাংশ মানুষ একটি বিদেশী ভাষায় কথা বলতে পারলেই খুশী হয়।
তবে, কিছু মানুষ আছে যারা ৭০ টিরও বেশী ভাষায় দক্ষ।
তারা এই সবগুলো ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন এবং সঠিকভাবে লিখতেও পারেন।
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় অত্যধিক-বহুভাষাবিধ আমাদের মধ্যে রয়েছে।
বহুভাষাবাদের বিষয়টি অনেক কাল থেকেই চলে আসছে।
এই ধরনের প্রতিভা নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কোথা থেকে এই প্রতিভা মানুষ পেয়েছে তা নিয়ে সম্পূর্ণভাবে গবেষণা করা হয়নি।
এটা নিয়ে অনেক বৈজ্ঞানিক মতবাদ রয়েছে।
অনেকে মনে করেন বহুভাষাবিদদের মস্তিষ্কের গঠন সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্ন।
মস্তিষ্কের ব্রোকা সেন্টারে এই ধরনের ভিন্নতা দেখা যায়।
মস্তিষ্কের এই সেন্টারে ভাষা সৃষ্টি হয়।
এই অঞ্চলের কোষের গঠন বহুভাষাবিদদের ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়।
ফলে সাধারণ মানুষের তুলনায় তারা বেশী তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে।
কিন্তু অনেক গবেষণা আবার নিশ্চিৎ করেছে যে এই মতবাদে ভুল রয়েছে।
গ্রহনযোগ্য বক্তব্য হচ্ছে, এটা একপ্রকার ব্যতিক্রমী অনুপ্রেরণা।
অন্য বাচ্চাদের কাছ থেকে বাচ্চারা বিদেশী ভাষা দ্রুত শেখে।
কারণ খেলার সময় তারা মিলেমিশে খেলে।
তারা খেলার একটা অংশ হিসেবে সবার সাথেই যোগাযোগ করতে চায়।
তাই সম্পৃক্ত হওয়ার ইচ্ছা থেকেই তাদের শেখার ধরণ উন্নত হয়।
আরেকটি মতবাদ হল মস্তিষ্ক-সংক্রান্ত উন্নতি সাধন হয় শেখার সাথে সাথে ।
তাই আমরা যতই শিখব, শিক্ষণ ততই সহজ হবে।
কাছাকাছি ধরনের ভাষা শেখা অনেক সহজ।
তাই যে ড্যানিশ ভাষা জানে তার জন্য সুইডিশ ও নরওয়েজিয়ান ভাষা শেখা সহজ হয়।
তারপরও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়।
তাহলে কি বুদ্ধিমত্তা ভাষা শিক্ষায় কোন ভূমিকা রাখেনা?
কম বুদ্ধিমান হয়েও কিছু লোক অনেক ভাষায় কথা বলতে পারে।
তারপরও সবচেয়ে মেধাবী ভাষাবিধ যিনি তাকেও বুদ্ধির পরিচয় দিতে হয়।
এটা একটা স্বস্তির ব্যপার, তাই না?