অন্ধ মানুষ ভাল শুনতে পায়।
ফলে, তাদের দৈনন্দিন জীবন সহজ হয়।
কিন্তু অন্ধ মানুষ ভাল কথা বলা প্রক্রিয়া করতে পারি!
অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা এই সিদ্ধান্তে এসেছে।
গবেষকরা কয়েকজন মানুষকে কিছু রেকর্ডিং শুনিয়েছেন।
রেকর্ডিং এ কথা আস্তে আস্তে বাড়ানো হচ্ছিল।
এই সত্বেও, অন্ধরা রেকর্ডিংটি বুঝতে পেরেছিল।
যারা অন্ধ ছিলনা তারা পরিমানে কমই বুঝতে পেরেছিল।
বাকশক্তির হার তাদের জন্য খুব বেশী ছিল।
আরেকটি গবেষণায় অনুরূপ ফলাফল এসেছিল।
অন্ধ ও সুস্থ মানুষদের কয়েকটি বাক্য শোনানো হয়ছিল।
প্রতিটি বাক্যের একটি অংশ বানানো ছিল।
বাক্যের শেষ শব্দটি একটি অর্থহীন শব্দ ছিল।
তাদেরকে বাক্য মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছিল।
তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল যে বাক্যগুলো বোধগম্য নাকি অর্থহীন।
বাক্য নিয়ে কাজ করার সময়, তাদের মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ করা হয়েছিল।
গবেষকরা মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু তরঙ্গ মেপেছিলেন।
যাতে করে তারা বুঝতে পারেন মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ দ্রুত সমাধান করতে পারে।
অন্ধদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু তরঙ্গের সংকেত দ্রুত এসেছিল।
এই সংকেত ইঙ্গিত দেয় যে একটি বাক্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
সুস্থ মানুষদের ক্ষেত্রে ঐ সমস্ত তরঙ্গের সংকেত ধীরে এসেছিল।
কেন অন্ধদের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ দক্ষতা সুস্থ মানুষদের চেয়ে বেশী তা জানা যায়নি।
কিন্তু এ বিষয়ে বিজ্ঞানীদের একটি তত্ত্ব আছে।
তারা বিশ্বাস করেন যে অন্ধদের মস্তিষ্ক একটি নির্দিষ্ট মস্তিষ্কঅঞ্চল নিবিড়ভাবে ব্যবহার করে।
এটা সেই অঞ্চল যা দিয়ে দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন মানুষ দেখার কাজ প্রক্রিয়া করে।
অন্ধদের এই অঞ্চল কোন কাজ করেনা।
সুতরাং অন্যান্য কাজে এটি সহজে ব্যবহার করা হয়।
এই কারণে, অন্ধদের ভাষা প্রক্রিয়ার অধিক ক্ষমতা থাকে…