বেশী ব্যবহৃত শব্দের চেয়ে কম ব্যবহৃত শব্দ দ্রুত পরিবর্তন হয়।
এটা সম্ভবত বিবর্তনবাদের জন্য।
সাধারণ জিনগুলো সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়।
তারা এমনিতেই স্থিতিশীল।
দৃশ্যত বিষয়টি শব্দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ইংরেজী ক্রিয়াগুলোকে নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল।
গবেষণায় বর্তমান ক্রিয়াগুলোর সাথে অতীতের ক্রিয়াগুলোর তুলনা করা হয়েছিল।
ইংরেজীতে সবচেয়ে প্রচলিত দশটি ক্রিয়ায় অনিয়মিত ক্রিয়া।
অন্যান্য ক্রিয়াগুলো নিয়মিত।
কিন্তু মধ্যযুগের কিছু ক্রিয়া এখনও অনিয়মিত।
তাই অনিয়মিত ক্রিয়া যা খুব কম ব্যবহৃত হত এখন তা নিয়মিত ক্রিয়া হয়ে গেছে।
আগামী ৩০০ বছরের মধ্যে ইংরেজীতে কোন অনিয়মিত ক্রিয়া থাকবেনা।
আরেকটি গবেষণা দেখিওয়েছে যে, জিনের মত ভাষা নির্বাচন করা হয়।
গবেষকরা বিভিন্ন ভাষার প্রচলিত শব্দগুলো নিয়ে গবেষণা করেছেন।
এই গবেষণায় তারা এমন সব শব্দ নির্বাচন করেছেন যেগুলো একইরকম ও একই অর্থের।
এই ধরনের উদহারণ হচ্ছে ঃ ওয়াটার, ওয়াসার, ভ্যাটেন।
এই শব্দগুলোর উৎপত্তি একই এবং দেখতেও প্রায় একই রকম।
যেহেতু এরা প্রয়োজনীয় শব্দ, সব ভাষায় প্রতিনিয়ত এরা ব্যবহৃত হয়।
তাই তারা এখনও অপরিবর্তিত এবং একই রকম আছে।
কম প্রয়োজনীয় শব্দ দ্রুত পরিবর্তিত হয়।
তাদের স্থান অন্য শব্দ দখল করে।
বিভিন্ন ভাষায় কম প্রয়োজনীয় শব্দ এভাবেই হারিয়ে যায়।
কেন কম প্রয়োজনীয় শব্দের পরিবর্তনের বিষয়টি স্পষ্ট না।
সম্ভবত তারা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়না বা ভুল উচ্চারিত হয়।
এটা হতে পারে যে, বক্তা তাদের সাথে পরিচিত না।
কিন্তু এটা স্পষ্ট যে, প্রয়োজনীয় শব্দ সবসময় অপরিবর্তিত থাকে।
কারণ কেবলমাত্র তখনই তাদেরকে সঠিকভাবে বোঝা যায়।
এবং বোঝার জন্য সেখানে শব্দ আছে...