আপনি কি জানেন যে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জার্মান ভাষায় কথা বলা হয়।
এটা আসলেই সত্যি!
পাপুয়া নিউগিনি ও অস্ট্রেলিয়ার অনেক অংশে মানুষ আনর্সাডুইচ্ ভাষায় কথা বলে।
এটা একটি ক্রিওল ভাষা।
ভাষার যোগাযোগের বিভিন্ন পর্যায়ে ক্রিওল ভাষার সৃষ্টি হয়।
এটা তখনই হয় যখন বিভিন্ন ভাষা একে অন্যের সম্মুখীন হয়।
বর্তমানে অনেক ক্রিওল ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
তারপরও বিশ্বব্যাপী প্রায় দেড় কোটি মানুষ ক্রিওল ভাষায় কথা বলে।
ক্রিওল ভাষা সবসময় স্থানীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃত।
পিজিন ভাষা থেকে এই ভাষা অনেকটাই ভিন্ন।
পিজিন একটি অত্যন্ত সহজ কথ্য ভাষা।
সাধারণ যোগাযোগের ভাষা এ ভাষা উত্তম।
ঔপনিবেশীক অঞ্চলে ক্রিওল ভাষার উত্থান।
কিন্তু এই ভাষার মূল ইউরোপীয় ভাষায়।
ক্রিওল ভাষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল স্বল্প শব্দভান্ডার।
কিন্তু ক্রিওল ভাষার নিজস্ব ধ্বনিবিজ্ঞান আছে।
এই ভাষার ব্যকরণ অধিকতর সহজ।
কঠিন নিয়মগুলো কথা বলার সময় এড়িয়ে যাওয়া হয়।
জাতীয় পরিচিতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এক একটি ক্রিওল ভাষা।
যার ফলে অনেক সাহিত্য লেখা হয়েছে ক্রিওল ভাষায়।
ভাষাবিদরা ক্রিওল ভাষার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী।
কারণ তারা জানেন কিভাবে ভাষা বিকশিত হয় আবার কিভাবে হারিয়ে যায়।
তাই একটি ভাষার ক্রমবিকাশ জানতে হলে ক্রিওল ভাষা সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে।
তাহলে বোঝা যাবে কেন ভাষা পরিবর্তন হয় ও উপযুক্ত করে নেয়া হয়।
ক্রিওল ভাষা নিয়ে অধ্যয়নের নাম ক্রিওলবিদ্যা।
ক্রিওল ভাষার অন্যতম পরিচিত বাক্যটি এসেছে জ্যামাইকা থেকে।
আপনি কি জানেন, এই বাক্যটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করেছেন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পি বব মার্লি?
ইটস্ নো উম্যান, নো ক্রাই! (না, নারী, তুমি কেঁদনা)